গবেষণাধর্মী ৩ টি ইসলামিক বই

Description

১ম বইটি সম্পর্কে কিছু কথা ( ইহুদিবাদের মুখ ও মুখোশ )

ইহুদিবাদের মুখ ও মুখোশ এমন এক গ্রন্থ যার দর্পণে হিজবুশ শয়তানের চেহারা আমরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে পারি। ইহুদিবাদীরা মানবতাবিরোধী, বিশেষ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের করেছ তা এই বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে ।

এই গ্রন্থ ষড়যন্ত্রের উদ্ঘাটক, খ্রিষ্টীয় বিভ্রান্তির নির্ণায়ক এবং উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় দেউলিয়াত্বের বিকৃত অবয়বের উন্মোচক করা হয়েছে।

ইহুদি ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করে এই গ্রন্থটি বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।
ইহুদি খ্রিষ্টানদের ধর্মগ্রন্থে ঈসা মসীহ, ঈমাম মাহদী ও দাজ্জাল সম্পর্কে বর্ণিত ঘটনাবলীর সত্যায়ন পাঠকদের ঈমানকে দৃঢ় করবে। সত্যের প্রতিটি সৈনিক ও মানবতার প্রত্যেক খাদেমের জন্য এই গ্রন্থটি একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।

পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী সভ্যতা রবের সাথে মানুষের সম্পর্ককে বিচ্ছিন্ন করেছে। এটা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা মানব জতির একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে মুসলিম জাতিই পারে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার পথ দেখাতে। কিন্তু পশ্চিমারা এই পদক্ষেপকে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা মুসলিম জাতিকে তাদের স্বজাতির পরিচয় ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

২য় বইটি সম্পর্কে কিছু কথা (বস্তুবাদের মুখোশ উন্মোচন)

খুলাফায়ে রাশেদার পরবর্তী যুগে মুসলিম উম্মাহকে গুরুতর কিছু ফিতনার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং তারা সেটা মোকাবেলাও করেছে।

উমাইয়া যুগে, অনেক মুসলমান খলিফাদের খলিফার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
তারা মনে করতেন যে, শূরা পদ্ধতিকে উপেক্ষা করে খিলাফতের দায়িত্ব বণ্টন করা হচ্ছে।
এসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না থাকায়, ফিতনা আরও বড় আকার ধারণ করে। কিছু খলিফা বাইয়াত গ্রহণে এমন স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেন যে, তারা যুগশ্রেষ্ঠ সাহাবি ও তাবেয়ীগণকেও জুলুম করেছিলেন।

৩য় বইটি সম্পর্কে কিছু কথা (আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা.)

আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের খিলাফত ব্যবস্থাকে নববী মানহাজে ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করেছিলেন, যা ক্ষমতাসীনদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে ওঠে। তাকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল, কিন্তু সে ব্যর্থ হয়েছিল।

আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের খিলাফত ব্যবস্থাকে নববী মানহাজে ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করেছিলেন, যা ক্ষমতাসীনদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে ওঠে। তাকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল, কিন্তু সে ব্যর্থ হয়েছিল।

এমতাবস্থায় ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি এই সংকলনের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য সূত্রে ও সততার সাথে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরেছেন। বইটি পড়ে— প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রকাঠামোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে ইবনে যুবায়ের কতটা সুদূরপ্রসারী কৌশল অবলম্বন করেছেন এবং অস্থিতিশীল রাজনীতিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কতটা বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তা জানা যাবে। তাছাড়া লেখক ব্যাপক গবেষণা ও সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে তার সংগ্রামের সফলতা ও ব্যর্থতার কারণসমূহ বর্ণনা করেছেন।
.
ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে যারা শিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী, এই রচনাটি তাদের জন্য মূল্যবান খোরাক হবে বলে আশাবাদী।