“সালাত জান্নাতের একটি মাধ্যম ও আত্মশুদ্ধির দশ নীতি” প্যাকেজ

Description

“আত্মশুদ্ধির দশ নীতি”  বই সম্পর্কে কিছু কথাঃ

আত্মশুদ্ধির বিষয়ে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে, তিনি সব সময় দু’আয় বলতেন, ” হে আমার আল্লাহ!  আমার নফসকে তাকওয়া দান করুন ও পরিশুদ্ধ করুন। আপনিই তো সর্বোত্তম পরিশুদ্ধকারী। আপনিই তার অভিভাবক ও একমাত্র মাওলা! ” 

এ সম্পর্কে হযরত আলী ইবনে তালিব রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু বলেন,হে লোকেরা, আমি তোমাদের ব্যাপারে যে সকল বিষয় নিয়ে খুব বেশী ভয় করি, তার মধ্যে সবচেয়ে ভীতিকর বিষয় হচ্ছে দীর্ঘ আশা ও প্রবৃত্তির অনুসরণ। কেননা দীর্ঘ আশা আখিরাত কে ভুলিয়ে দেয়, আর প্রবৃত্তির অনুসরণ হক থেকে বিচ্যুত করে দেয়, যা তোমাদের জন্য অনেক ভয়ংকর! সুতরাং আত্মশুদ্ধি জরুরী! আত্মশুদ্ধির লেখক “ হযরত আব্দুর রাযযাক আল বাদার (হাফি.) খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। তবে এই বইটিকে আরো সহজ ভাষায় অনুবাদ করেন হযরত মানযূরুল করীম। 

“সালাত জান্নাতের একটি মাধ্যম ” বই সম্পর্কে কিছু কথাঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা তার প্রতিটি বান্দার উপর নামায তথা সালাতকে  ফরজ করেছেন। কারন  আল্লাহ চান না তার কোন বান্দাই জাহান্নামে যাক, তিনি অতিমাত্রায় দায়লু! আর তাই তিনি তার বান্দার উপর সালাতকে ফরজ করেছেন, কারন সালাত হচ্ছে জান্নাতে যাওয়ার একটি মাধ্যম। আর আমাদের সৃষ্টির মানব সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল রব্বের ইবাদাত করা বা রব্বে কারিমের গোলামি করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা  বলেছেন— (وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ) “আমি জিন ও মানবজাতিকে শুধুমাত্র আমার ইবাদত ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি। ” অর্থাৎ,শুধু মাত্র আমার ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।  আর এ ইবাদাত মানে হল,  জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা ও তাঁর প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে চলা যা, এই বইটিতে বর্ণিত আছে।